মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় ও প্রতিকার :
আজকে আমরা জানবো কিভাবে মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় পাওয়া যায়। আমরা সাধারণত যে কোন ধরনের বেদনাদায়ক কষ্টদায়ক উদ্দীপন পরিবেশ থেকে মুক্তি চাই কিংবা এড়িয়ে যেতে চাই ।মানুষ একটি সামাজিক জীব। জীবন চলার পথে অনেক বাধা বিপত্তি পার হতে হয়। মানুষকে বিভিন্ন রকম নানা প্রতিকার প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলা করতে হয়। প্রতিকুলতা পরিবেশের সাথে মোকাবেলা করতে গিয়ে অনেকে শারীরিক অসুস্থতার সাথে সাথে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। কারণ বাস্তবতা যত কঠিনই হোক না কেন তাকে অস্বীকার করে সেখান থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়।
ভাই আমরা সকলেই নিজেদের শারীরিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন হলে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য আর তেমনটা খেয়াল রাখি না। কিন্তু শারীরিক-মানসিক সুস্থতা দুইটা আমাদের জন্য অপরিহার্য। আপনি যদি মানসিক ভাবে কিছুটা বেকার গ্রস্ত এবং মানসিক রোগ মুক্তির উপায় খুঁজে থাকেন তাহলে আপনার জন্য আমার সম্পূর্ণ আর্টিকেল আর্টিকেল এর মধ্যেই আমরা আলোচনা করব কিভাবে আপনি মানসিক এবং শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে পারেন। তাই জীবনে দুঃখ কষ্টকে এড়িয়ে না গিয়ে বরং চলমান জীবনের একটি অংশ হিসাবে শিকার করে নিতে হবে।
মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় |
মানসিক রোগ কি
মানসিক রোগ হল কোন ব্যক্তির অস্বাভাবিক আচরণ জীবনযাপনের চিত্র এক্ষেত্রে মানুষ নানা রকম মানসিক চাপ অসুস্থ বিচলিত হয়ে পড়েন এটি সাধারনত ঘটে মস্তিষ্কের রোগের কারণে একজন মানসিক রোগের নিজের ব্যক্তিগত জীবন পারিবারিক জীবন সমজিক পেশাগত জীবন অব্যাহত হয়। রোগী তীব্র মানসিক যন্ত্রণা অস্বস্তিতে ভোগে। মানসিক রোগ মূলত দুই ভাগে ভাগ করা হয়।
১ নিউরোটিক
২ সাইকোসিস
এই ধরনের মানসিক রোগ হলে মানসিক রোগ হয় জানাতো দুশ্চিন্তা অসামরিক রাগ ইন্টারনেটে আসক্ত প্যানিক, মাদকাসক্ত, যৌন সম্যাসা ইত্যাদি কারণে মানসিক রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি
সাইকোসিস এটি হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানসিক সমস্যা। প্যানিক ডিজঅর্ডার, মেন্টাল ডিসঅর্ডার, পারকিনসন ডিজিজ, সেজ ফুলিয়া, সিজোফ্রেনিয়া, বাইপোলার বাংলাদেশ 3 লক্ষ শতাধিক বেশি মানুষ এসব রোগে আক্রান্ত। এসব মানসিক রোগের আসল কারণ এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে মূলত কয়টি কারণে মানসিক রোগের সৃষ্টি হয় সেগুলো জেনেটিক বংশগত প্রভাব, শারীরিক মানসিক যৌন নির্যাতন, পরিবেশগত প্রভাব, ইন্টারনেট অন্যান্য নেশাদ্রব্যের প্রতী অধিক আগ্রহ, মস্তিষ্কের গঠন জনিত সমস্যা, নিউরোট্রান্সমিটার ভারসাম্যহীনতা বা কিডনি, দীর্ঘমেয়াদী ঘুমের অভাব তাছাড়া মৃরীরোগ স্ট্রোক ডায়াবেটিস, যকৃত, মাথায় আঘাত, ব্রেইন টিউমার এইসব কারণে মানসিক রোগ হতে পারে।
আপনি মানসিকভাবে অসুস্থ কিনা কিভাবে বুঝবেন
মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় এবং কিভাবে বুঝবেন একটা পরীক্ষার মাধ্যমে আপনি প্রাথমিকভাবে রোগ নির্ণয় করতে পারেন। মনে করুন কোন একটা বিষয় নিয়ে আপনি কাউকে কিছু বলার ব্যাপারে আপনি সে বিষয়ে বিস্তারিত জানেন এবং সে বিষয়ে আপনার বিস্তারিত বলার দরকারও আছে কিন্তু আপনার তো বলতে মন চাইছে না বা ইচ্ছে করছে না বা বলার মত সাহস পাচ্ছেন না আপনি সেটা বলার জন্য উদগ্রিব হয়ে আছেন তখন আপনি মনে করবেন আপনার মানসিক সমস্যা রয়েছেন।
তাছাড়া আপনি কোন কাজ পুরোপুরি জানেন কিন্তু আপনি কারো কাছে কারো সামনে কাজটা করার মতো সাহস পাচ্ছেন না। তাহলে বুঝবেন আপনার মানসিক সমস্যা আছে।
- মানসিক অসুস্থতা থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার কাহিনি
- সন্দেহ রোগ থেকে মুক্তির উপায়
- মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায়
মানসিক রোগ সৃষ্টি হয় কেন
মানসিক রোগ সারাতে তিনটি কারণে হতে পারে ১/বংশগত ২/ মস্তিষ্কের রাসায়নিক পরিবর্তন ৩/ পরিবেশ এবং সামাজিক প্রভাব । ব্রেইন ইমেজিং এবং ডেমোগ্রাফিক পরীক্ষা করে রাসায়নিক পরিবর্তন প্রমাণ পাওয়া গেছে এর উপর ভিত্তি করে মানসিক রোগের মেডিসিন প্রয়োগ করা হয়। এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে 50 শতাংশ মানুষ মানসিক রোগ 14 বছর বয়স থেকে শুরু হয়েছে। তিন- চতুর্থাংশ 24 বছর বয়সে শুরু হয়।
মানসিক অসুস্থ হওয়া স্বাভাবিক তবে তার সাধারন কোন বিষয় নয়। আবার অন্যদিকে মানসিক অসুস্থতায় স্পষ্টভাবে অস্বাভাবিক এর মধ্যে চিন্তা অনুভূতি উপলব্ধি এবং অভিজ্ঞতা থেকে আলাদা। এটি মারাত্মক কষ্টের কারণ হতে পারে যা সাধারণ নয়। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এর মতে প্রকৃতপক্ষে মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাধিগুলি বয়স্কদের তুলনাই অল্পবয়সীদের বেশি প্রভাবিত করে।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে মূলত কয়টি কারণে মানসিক রোগের সৃষ্টি হয় সেগুলো জেনেটিক বংশগত প্রভাব, শারীরিক মানসিক যৌন নির্যাতন, পরিবেশগত প্রভাব, ইন্টারনেট অন্যান্য নেশাদ্রব্যের প্রতী অধিক আগ্রহ, মস্তিষ্কের গঠন জনিত সমস্যা, নিউরোট্রান্সমিটার ভারসাম্যহীনতা বা কিডনি, দীর্ঘমেয়াদী ঘুমের অভাব তাছাড়া মৃরীরোগ স্ট্রোক ডায়াবেটিস, মাথায় আঘাত, ব্রেইন টিউমার এইসব কারণে মানসিক রোগ হতে পারে।
মানসিক অসুস্থ হলে নিজের মধ্যে কি কি পরিবর্তন হয়
মানসিকভাবে অসুস্থ একজন মানুষ সামাজিক সব কিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেই কারণ আপনার কোন কিছু ভাল লাগবেনা আপনার খাওয়া দাওয়া ঘুমে অনেক পরিবর্তন আসবে। অনেক সময় কোনো কিছু দেশ পত্রিকা দেখানো একটি মানুষ হিসেবে বিবেচিত কারণ অতিরিক্ত প্রতিকিয়া বাইপোলার ডিসঅর্ডার এর লক্ষণ।
প্রতিশব্দ শুনলে যে কারো জন্য বেদনাদায়ক কিন্তু আপনি যখন চরম রাগ বা অন্ধকার বিষন্নতার সাথে ভালোভাবে খতিয়ে জানাতে পারেন। ফলে মানসিক রোগ মস্তিষ্কের প্রবাহিত করতে পারে ভাগ্যক্রমে থেরাপি এবং ওষুধের সংমিশ্রণ উদ্বেগ ফলে মানসিক রোগ মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
তারা মানসিক রোগে ভোগেন তারা সক্ষম হীনমন্যতায় থাকবে। নিজেকে সবসময় নিচু এবং দুঃখিত মনে হবে। মাথায় বিভিন্ন বিভ্রান্ত চিন্তাভাবনা আসতে থাকবে। সব সময় অতিরিক্ত ভয় বা উদ্বেগ দেখা দিবে কোন কারন ছাড়াই । তাছাড়া জরুরী কোন বিষয়ে মনোনিবেশ করতে ইচ্ছে করবে না চাইলেও সে ক্ষমতা থাকবে না। নিজেকে নিজে চরম অপরাধবোধের অনুভূতি হবে কোন কারণ ছাড়া ।
আপনার মন মেজাজ কিছুক্ষণ ভালো আবার কিছুক্ষণ খারাপ হয়ে যাবে। আপনার মেজাজের পরিবর্তন হতে থাকবে। এটা অনেকটা হবে অসচেতনভাবে হয়তো আপনি নিজেও জানেন না আপনার মানসিক রোগ হয়েছে।
কিভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিবেন
আপনার জীবনেসবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে নিজের প্রতি নিজের যত্ন নেওয়া । আমরা জেনে নেই কিভাবে মানসিকভাবে নিজেকে সুখী রাখব। সাইকোথেরাপি হলো মানসিক রোগের চিকিৎসা যা প্রশিক্ষিত একজন মানসিক স্বাস্থ্য পেশাদার এর দ্বারা প্রদান করা হয় একজন সাইকোথেরাপি চিন্তা অনুভূতি আচরণগুলো অনুসন্ধান করে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। একজন ব্যক্তির কল্যাণকর মত করার চেষ্টা করো ওষুধের সাথে যুক্ত সাইকোথেরাপি তাকে পুনরুদ্ধারের সবচেয়ে কার্যকর উপায় যা মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় পাওয়া যায়।
১- অন্যের কাছে আপনার অনুভূতি গুলো প্রকাশ করে এবং তাদের সাথে আপনার অনুভূতি গুলো ভাগাভাগি করে নিন তার সাথে মেশার চেষ্টা করুন।
২- নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে শরীর এবং মস্তিষ্কের দুটি সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে আপনার যে কোনো কাজে মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে এবং ঘুম ভালো হওয়ার কার্যকারী প্রভাব রাখতে পারবে।
৩- আপনার বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন নিয়মিত সবার সাথে যোগাযোগ রাখুন। মিলে একসাথে আড্ডা দিন কথা বলুন আপনার মন ভালো থাকবে মানসিক সুস্থতার ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৪- নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন আপনার শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মতো মস্তিষ্কের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির প্রয়োজন হয়। পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে চাহিদাগুলো পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে চাহিদাগুলো পূরণ হয়।
৫- অ্যালকোহল নেশা জাতীয় দ্রব্য থেকে দূরে থাকুন। কারণ এগুলা সত্যিকার অর্থে মস্তিষ্কের বিরূপ প্রভাব তৈরি করে।
৬- আপনি যেমন হন না কেন নিজেকে জোর করে পরিবর্তন করা দরকার নাই। সবার নিজ নিজ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী একজন চাইলে আরেকজনের মত হতে পারে না। অন্য কাউকে অনুশীলন করার চেষ্টা করবেন না এতে আপনার মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়। নিজে নিজের মতো করে চলার চেষ্টা করবেন।
মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায়
মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় যে বিষয়টি জানা জরুরি যদি চিকিৎসা না করে থাকেন তাহলে উদ্বেগ এবং বিষন্নতা মস্তিষ্কের ক্ষতি করে মানসিক ভাঙ্গন দেখা দিবেন নার্ভাস ব্রেকডাউন কখনো কখনো মানুষ একই চাপের কারণ হয়ে থাকে যেখানে তারা সাময়িকভাবে দৈনন্দিন জীবন স্বাভাবিকভাবে কাজ করতো অক্ষম। এটি সাধারণত তখনই ঘটতে পারে যখন জীবনের চাহিদাগুলো শারীরিক এবং মানসিক অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠে।
মনকে সবসময় বিষণ্নতা দেখা যায়। বিষন্নতার কারণ হিসেবে গবেষণায় দেখা গেছে কিছু রাসায়নিক পদার্থ খুব বেশি বা কম থাকার কারণে বিষন্নতা হয় না বরং হতাশার বহু সম্ভাব্য কারণ রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে মস্তিষ্কের খুবই ত্রটিপুর্ণ মেজাজ নিয়ন্ত্রণ, জেনেটিক দুর্বলতা এবং চাপপূর্ণ জীবনের ঘটনা। দৈনিন্দিন ছাপের ক্ষেত্রে আমরা কিভাবে চিন্তা করে অনুভব করি বা কাজ করি। তা পরিচালনা করা কঠিন মনে করা দুর্বল মানসিক স্বাস্থ্যের লক্ষণ।
পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা
আমরা অনেকে কর্মজীবন ব্যস্ততা মোবাইল আসক্ত বিভিন্ন কারণে পর্যাপ্ত ঘুম যেতে পারি না। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে আমারা শারীরিক মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি। সঠিক সময়ে দৈনিক কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘুম নিশ্চিত করতে হবে। কারণ পর্যাপ্ত ঘুম শারীরিক মানসিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
নিয়মিত গোসল করা নিজের কাপড়চোপড় ধোয়া নিজে নিজের রুম পরিস্কার করা বাড়ির কাজ অন্যকে সাহায্য করা যা আপনার একটি দিনকে আর অর্থপূর্ণ করতে সাহায্য করবে। অল্প সময়ের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা। ফলমূলসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার খাদ্য তালিকায় যোগ করতে হবে। সময় নিজের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতে হবে। পৃথিবীর সকল প্রাণ-প্রকৃতির বন্ধু মনে করা। তাহলে আপনি ভালো থাকতে পারবেন।
মানসিক রোগের চিকিৎসা
মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় পেতে হলে নিজেই নিজেকে ভালোবাসুন। মনে রাখবেন আপনার রোগ আপনে কে তা দেখবে না । আপনি মূল্যবান কোন অবদান রাখছেন কেউ সেই অবদানকে প্রতিহিত করবে না। আপনাকে কেউ ভালো রাখতে পারবেনা । এমন দারনা মুটে মনের মধ্যে পোষণ করবেন না। আপনি একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন যিনি আপনাকে সুস্থ হওয়ার পথ দেখাবে। তিনি আপনাকে উৎসাহিত করবে। এবার আপনি একজন মানসিক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখান যিনি আপনাকে রোগ সম্পর্কে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করবেন তার চিকিৎসা আপনি কি উপকৃত হবেন।
মন মেজাজ সবসময় ঠান্ডা রাখুন উত্তেজনা প্রশমনের পথ খুঁজে বের করুন। মেডিকেল রেকর্ড সংরক্ষণ করে করে কোথায় কোন চিকিৎসকের কাছে গিয়েছে চিকিৎসার জন্য ধারাবাহিক সংরক্ষণ ফাইল তৈরি করে, কোন চিকিৎসা কেমন ভালো হয়েছে সেটা লিপিবদ্ধ করুন।
read also: