হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার
হার্ট হচ্ছে আপনার হাতের মুষ্টি বদ্ধ সমান একটি মাংসপেশি। এটা মিনিটে প্রায় ৭০বার স্পন্দিত হয়। রক্ত হার্ট থেকে ফুসফুসে যায় এবং অক্সিজেন সংগ্রহ করে। এই অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত আবার হাটের মধ্যে ফিরে আসে এবং ধমনীতন্ত্রের মাধ্যমে সঞ্চালিত হয়ে শরীরের সব অঙ্গ পতঙ্গ অক্সিজেন সরবরাহ করে। তারপর শিরার মাধ্যমে এই রক্ত আবার হার্টে ফিরে আসে এবং হার্ট থেকে আবারও ফুসফুসে সঞ্চালিত হয়। আর এই সঞ্চালন প্রক্রিয়াকে বলা হয় রক্ত সঞ্চালন। আরে এই হার্টকে ভালো রাখতে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা খাদ্য চলাফেরার উপর নির্ভর করে। আর আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে জানাবো হার্ট অ্যাটাক কেন হয়, হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার দৈনিন্দিন নিয়মমাফিক খাদ্যাভাস ও চলাফেরা ইত্যাদি।
হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার
বুকে ব্যথা: হার্টের সমস্যা অন্যতম প্রধান লক্ষণ হল বুকে ব্যথা। তাই আপনার যদি এইরকম কোন সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে একেবারে ফেলে না দিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে রক্তচাপ উঠানামা করলে। বুকের মধ্যে চেপে ধরে ব্যথা থাকলে পিক মাঝখানে ব্যথা থাকলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আর এই ব্যথা যদি এক মিনিটের বেশি হয়ে থাকে তাহলে রোগীকে দূর্ত মেডিকেল নিতে ভুল করবেন না।
পিঠে ব্যথা: কমাগত পিঠের ব্যথা হতে পারে হার্টের সমস্যার লক্ষণ। সব সময় যে বুকে ব্যথা হবে এমন টাও না হতে পারে। এমন মেয়েদের ক্ষেত্রে পিঠের ব্যথা বেশি দেখা যায়। আর এইসব কিন্তু হার্টের সমস্যার পূর্ব লক্ষণ।
অতিরিক্ত ঘাম হওয়া: অতিরিক্ত ঘাম হওয়া হার্ট অ্যাটাক একটি পূর্ব লক্ষণ। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে বুকে ব্যাথা হওয়া ছাড়াও অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, বুক ধড়ফড় করা, হঠাৎ শরীর খারাপ লাগতে শুরু করলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
চোয়ালে ব্যথা: চোয়ালে ব্যথা আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দাঁতের ব্যথার কারণ হিসাবে চিহ্নিত করি। অনেকে ভাবেন মাড়ির সমস্যা থেকে মনে হয় এই ব্যথা হচ্ছে। আর এই চোয়ালের ব্যথা হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ। যদি কারও কোন কারণে বুকে সংক্রমণ, শ্বাসকষ্ট, সর্দি কাশির মতো সমস্যায় ভোগেন এবং সেইসঙ্গে চোয়ালে ব্যথা অনুভব হয় তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়া: আপনি কি যে কোন কাজে অল্পতে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। অল্প সময়ে কাজ করলেই কিছুক্ষণ পর বুক খড়পড় করে। বিশেষ করে মহিলাদের হার্টের সমস্যার প্রধান লক্ষণ। যদি আপনার মধ্যেই লক্ষণগুলো দেখা দেয় তাহলে এখনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ঘাড়ে ব্যথা: হার্ট অ্যাটাকের একটি অন্যতম কারণ হলো হার্টের পেশিতে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যাওয়া অথবা হঠাৎ রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া। প্রথমে বুক থেকে ব্যথা শুরু হয় তা আস্তে আস্তে ঘাড় পর্যন্ত পৌঁছে যায়। আবার অনেকের দেখা জায়গা ঘাড় লক হয়ে যায়। এ অবস্থায় আসার পূর্বে চিকিৎসকের কাছে যান। অতিরিক্ত চা খাওয়া থেকে দেখে এই সমস্যার সৃষ্টি হয় তবে এই ব্যাথা হৃদরোগের আভাষ দেয়।
বাঁ হাতে ব্যথা: যদি কোন কারণে হাটের মধ্যে রক্ত সঞ্চালন সমস্যা সৃ্ষ্টি হয় তাহলে কিন্তু বাঁ হাতে ব্যথা হয়। হঠাৎ এ ব্যথা হতে পারে হৃদরোগের পূর্ববর্তী লক্ষণ। এই সব ব্যথা অনুভব করলে মোট অবহেলা করা উচিত নয়।
কাশি: যদি আপনার দীর্ঘদিন কাশি সমস্যা থেকে থাকে। এবং তার সঙ্গে সাদা বা কিছুটা ঘোলাটে কফ বের হয় তবে বুঝতে হবে আপনার হার্ট আগের মত ঠিক কাজ করছে না। ভবিষ্যতে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হবে কাশি সবসময় হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে না ও পারে। তাহলে কফের সঙ্গে নিয়মিত রক্ত বের হলে এটি হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থেকে যায়।
অজ্ঞান হয়ে যাওয়া: যদি কাজ করা অবস্থায় আপনি প্রায় হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে যান তাহলে বুঝবেন আপনার হার্টের সমস্যা রয়েছে।
শ্বাসকষ্ট ও দম ফুরিয়ে যাওয়া: আপনার যদি শ্বাসকষ্ট বা অন্য কোন সমস্যা থেকে না থাকে। তবে হঠাৎ করে শ্বাস নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয় তবে সেটা খারাপ লক্ষণ। হূদরোগ থেকে মূলত ফুসফুসের জল জমা সহ বিভিন্ন জটিলতার কারণে ঠান্ডা ছাড়াও শ্বাসকষ্ট সমস্যা দেখা দিতে পারে। অল্পতে দম ফুরিয়ে যাওয়া মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়া হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ।
হার্টের রোগীর খাবার তালিকা
সাধারণত মধ্যবয়সী ব্যক্তিরা হার্টের সমস্যায় ভুগে থাকেন। নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে এই রোগে আক্রান্ত হওয়া অত্যন্ত ব্যাপক। এইসব রোগীদের সম্পন্ন নিয়মমাফিক চলাফেরা করতে হয় এবং নিয়মমাফিক খাবার গ্রহণ করতে হবে। তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা জানাবো হার্টের রোগীর খাবার তালিকা এবং কি কি খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে।
হার্টের রোগীর খাবার তালিকা রাখতে হবে
- মাছ হার্টের রোগীদের জন্য খুব ভালো উপকারী। তাই প্রতিদিনের খাবার তালিকায় নিয়মিত মাছ থাকতে হবে।
- সবুজ সবুজ শাকসবজি ফলমূল নিয়মিত খেলে হার্টের রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। আর যারা অলরেডি এ রোগে ভুগছেন তাদের ব্যক্তিভেদে দৈনিক দুই থেকে তিন পদের ফল খেতে হবে। এছাড়া ও হার্টের রোগীদের খাদ্য তালিকা দৈনিক সবুজ শাকসবজি রাখতে হবে।
- প্রতিদিন নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। অল্প পরিমাণে পানি পান করলে এমনি হার্টের উপর চাপ পড়ে। আর যদি রোগ ধরা পড়ে তাহলে পানি পানের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে।
- এ ছাড়া মুরগির মাংস, মুরগির ডিম, গরুর দুধ খেলে হার্টের উপকার হবে। সেই সাথে ডাল ও দৈনিক খাওয়ার তালিকায় রাখা যায়।
- রান্নার তেল হিসাবে অলিভ অয়েলের ব্যবহার সবচেয়ে ভালো। অন্যান্য তৈলের বদলে অলিভ অয়েল তেল দিয়ে রান্না করলে হৃদরোগের পাশাপাশি সকল রোগের জন্য বেশ ভালো হয়। তাছাড়া পরিবারের সবাই সুস্থ থাকতে পারবেন।
- মিষ্টি ফল যেমন- পাকা আম, পাকা কলা, পাকা পেঁপে ইত্যাদি।
- পেয়ারা খাবারের সাথে ও অন্যান্য সময় সালদ খেতে হবে।
- কাঁচা ছোলা বা বুট হৃদরোগের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠার পর খাওয়া হার্টের জন্য খুবই উপকারী।
- টক জাতীয় ফল বিশেষত খোসাসহ ফল যেমন পেয়ারা, জাম্বুরা, বড়ই, আমলকি ইত্যাদি
- ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগের গাইডলাইন অনুযায়ী খেতে হবে।
হার্টের রোগীর খাবার তালিকা থেকে যা বাদ দিতে হবে
ট্রান্সফ্যাট যুক্ত খাবার হার্টের রোগীদের জন্য অত্যন্ত বিপদজনক। নিত্যদিনের ভা জা পোড়া ফাস্টফুড জাংকফুড কুড়কুড়ে মচমচে কেনা খাবারের বেকারি ফুড ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণ ট্রান্সফ্যাট থাকে। আর সে ট্রান্সফ্যাট প্রতিনিয়ত রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের তা বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে রক্তের কোলেস্টেরল কমে গিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। সেইজন্য হার্টের রোগীদের খাদ্য তালিকায় ফাস্টফুড, পিৎজা, বেকারি ফুড, বিস্কুট, পাই এবং কেক এইগুলো বাদ দিতে হবে।
- হার্টের রোগীর খাবার তালিকা থেকে গরুর ছর্বি বাদ দিতে হবে। এছাড়া চর্বিযুক্ত খাবার ঘি ডালডা বা বাটার এই গুলার সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করতে হবে। খাদ্যতালিকায় চর্বিযুক্ত খাবার বাদ দিয়ে সাজিয়ে নিতে হবে।
- খাসির মাংস, গরুর মগজ, চিংড়ি মাছ, গরু ও খাসির কলিজা খাওয়া যাবে না।
- মাছের ডিম খাওয়া যাবে না বলে অনেক বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দিয়েছে। তাই মাছের ডিম এড়িয়ে চলতে হবে।
- ডিমের কুসুম খাওয়া যাবে না একদমই। ডিমের কুসুম আপনারা যতই ভালো লাগুক না কেন তা এড়িয়ে চলতে হবে।
- সয়াবিন তেল ও সরিষার তেল দিয়ে রান্না না করা উত্তম।
- বাহিরে গিয়ে মুড়ি চানাচুর ফুচকা এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- টেস্টিং সল্ট বা অতিরিক্ত লবন খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
তাছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হার্টের রোগীর খাদ্য তালিকা তৈরি করা উচিত। কেননা রোগীর বয়স রোগের ধরন আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে দৈনিক খাদ্য তালিকা প্রস্তুত করা উচিত।
হার্ট কিভাবে কাজ করে
হার্ট হচ্ছে আপনার হাতের মুষ্টি বদ্ধ সমান একটি মাংসপেশি। এটা মিনিটে প্রায় ৭০বার স্পন্দিত হয়। রক্ত হার্ট থেকে ফুসফুসে যায় এবং অক্সিজেন সংগ্রহ করে। এই অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত আবার হাটের মধ্যে ফিরে আসে এবং ধমনীতন্ত্রের মাধ্যমে সঞ্চালিত হয়ে শরীরের সব অঙ্গ পতঙ্গ অক্সিজেন সরবরাহ করে। তারপর শিরার মাধ্যমে এই রক্ত আবার হার্টে ফিরে আসে এবং হার্ট থেকে আবারও ফুসফুসে সঞ্চালিত হয়। আর এই সঞ্চালন প্রক্রিয়াকে বলা হয় রক্ত সঞ্চালন।
>আরও পড়ুন- একজিমা রোগের ঔষধ কি? এবং এর চিকিৎসা
হার্টের ঔষধের নাম
এসিই ইনহিবিটরস – ACE inhibitors
এ্যান্টি প্লাটিলেট ঔষধ – Anti platelet
এ্যানজিওটেনসিন টু এ্যানটাগোনিস্টস – Angiotensin II antagonists
বিটা ব্লকার্স – Beta blockers
নাইট্রেইটস – nitrites
এ্যান্টি এ্যারিদমিক ঔষধ – Anti arrhythmic medicins
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর ওষুধ – cholesterol lowering medicines
এ্যান্টিকোয়াগুল্যান্টস – Anticoagulants
ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার্স (ক্যালসিয়াম এ্যান্টগোনিস্টস) – Calcium Channel Blockers (Calcium Antagonists)
ডায়াবেটিস – Diabetes
পটাশিয়াম চ্যানেল অ্যাকটিভেটরস – Potassium channel activators
থ্রমবোলাইটিক ওষুধ – Thrombolytic medicines
ওষুধ গুলোর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কিনা
হাটের অসুখে ব্যবহৃত প্রায় সকল ওষুধ নিরাপদ। এটার মারাত্মকপার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুব কম হয়। কিন্তু সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পায় সকল ওষুধে থাকে। এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে রাখা ভালো। সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে হয়তবা আপনে ওষুধ চালিয়ে যেতে পারবেন। অথবা ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করলে ওষুধ পরিবর্তন করে দিবে।
হার্টের ব্যথা কোথায় হয়
- খাটের ব্যাথা বুকের ঠিক মাঝখানে হয়
- বুকের বা পাশেও মোচড় দিয়ে ব্যথা হতে পারে
- মনে হবে শ্বাস আটকে যাচ্ছে
- বুকে খুব চাপ অনুভব হবে
- ব্যাথার ধরণ তীক্ষ্ণ
- কুল কুল ঘাম হতে পারে
- মাথা ঘুরতে থাকে
- বমি বমি অনুভব হতে পারে
>আরও পড়ুন- পুস্তিকাটিতে হার্টের রোগীদের যেসব ঔষধের ব্যবস্থাপত্র
হার্টের পরীক্ষা কি কি?
ECG আলট্রাসনোগ্রাফি: এই সমস্যার পরীক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়। তখন এই পরীক্ষাটি সবার প্রথমে আসবে। এটি হার্টের রোগ নির্ণয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা। ECG পরীক্ষাটি একটা ব্যথাহীন প্রক্রিয়া। এখানে ডাক্তার আপনার বুকে আলট্রাসনোগ্রাফি লাগিয়ে দিবেন। সেগুলো আপনার হার্টের স্পন্দন মূলয়নে সহায়তা করবে।
এটার মাধ্যমে ডাক্তার আপনার হার্টের স্পন্দন কোন অস্বাভাবিক আছে কিনা জানতে পারবেন। অর্থাৎ খুব বেশি বা কম খুব দ্রুত বা ধীরে স্পন্দন অথবা স্পন্দন দুটির মধ্যে কোনটি অসাভাবিক আছে কিনা তা জানতে পারে। হার্টের দেওয়াল গুলির মধ্যে কোন ঘন হাটের দেওয়ালের মধ্যে ত্রুটি রয়েছে কিনা। যার ফলে হার্ট রক্ত সঞ্চালন কঠিন হয়ে যায়। ইসিজি পরীক্ষা করে তা শনাক্ত করা যায়। এমনকি আপনার পূর্বের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কিনা তাও জানতে পারবে।
ইকো পরীক্ষাঃ ইকো পরীক্ষাটি হলো আপনার হার্টের আল্ট্রসাউন্ড পরীক্ষা। একজন নার্স বা মেডিকেল সেবাদানকারী আপনার হার্ট চলমান অবস্থায় হার্টের ছবি নিবেন। ওই সব ছবি থেকে হার্টের পেশির ঘনত্ব এবং হার্ট কত ভালভাবে রপ্ত পাম্প করতে পারে তা জানা যায়। এটি আপনার ডাক্তার আপনার হার্টের পেশি বড় হয়েছে কিনা এবং হার্ট ঠিক মতো পাম্প করতে পারছে কি না জানতে পারেবেন।
বুকের এক্সরে: আপনারা নিশ্চয়ই বুকের এক্সরে সম্পর্কে শুনেছেন। এটি ফুসফুসের অবস্থান নির্ণয় করতে পারে। তবে আপনি কি জানেন এটি হার্টের রোগ নির্ণয় সহায়তা করে। বুকের এক্সরে করে হার্ট বড় হয়েছে কিনা তা জানা যায়। হার্টের বাইরে কোনো পরিবর্তন ঘটেছে কিনা যা কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে তা বুঝতে পারে। ফুসফুসে রক্ত জমা হলে আপনার হার্টের ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে বুকের এক্সরে করে তা জানা যায়।
রক্ত পরীক্ষা : আপনার জীবনের লক্ষ্যই পরীক্ষা করার জন্য বেশ কয়েকটি রক্ত পরীক্ষা করা হয়। আপনার রক্তের প্রোটিন ইলেক্ট্রোলাইটসের সোডিয়াম পটাশিয়াম মান পরিবর্তন হলে শরীরের অঙ্গ গুলির উপর একটি প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। যা ফেইলিং হার্ট থেকে অদ্ভুত পারে।
>আরও পড়ুন- খুশকি দূর করার উপায়। চিকিৎসা, ঔষধ-শ্যাম্পু