ভোটার হতে কি কি লাগে জেনে নিন সম্পূর্ণভাবে ২০২৩

ভোটার হতে কি কি লাগে

নাগরিকের জন্য প্রয়োজন হচ্ছে ভোটার আইডি কার্ড যাকে জাতীয় পরিচয় পত্র বা সংক্ষেপে এনআইডি কার্ড বলা হয়। নিজ দেশের ভিতরে এটি পরিচয় পত্র প্রমাণের একটি প্রধান মাধ্যম। বাংলাদেশি আইনে 18 বছর পূর্ণ হলে ভোটার আইডি কার্ড করা সবার জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

আজকের আলোচনা হল 2023 সালে ভোটার হতে কি কি লাগে। তাই নিজেকে অন্তর্ভুক্ত করা আবশ্যক ও কর্তব্য। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনার এই কার্ড প্রদান সহ যাবতীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। নতুন ভোটার কিভাবে হবেন কিংবা ভোটার হতে কি কি লাগে তা নিয়ে আজকের আলোচনা।

নতুন ভোটার হতে যা কিছু প্রয়োজন

2022 সালের নতুন ভোটার করার জন্য প্রত্যেকটা ইউনিয়ন পরিষদে ভোটার হওয়ার জন্য সরকারি সুবিধা দিয়েছে। নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আপনার যা কিছু দরকার প্রথমে আপনার দরকার একটি জন্ম নিবন্ধন বাংলা এবং ইংরেজি সহ পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র ট্যাক্স রশিদ বা চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট আপনার স্কুল কলেজ সার্টিফিকেট থাকলে সার্টিফিকেট রক্তের গ্রুপ ফটোকপি। হয়তো বা আপনার অন্যান্য তথ্য থাকলে এগুলা ইত্যাদি।

ভোটার  নিবন্ধন করার জন্য কোথায় যেতে হবে

ভোটার নিবন্ধন চলাচল কালে আপনার এলাকায় নিবন্ধন করতে পারবেন যদি বাদ পড়ে থাকেন তাহলে উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে ভোটার নিবন্ধন করে নিতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য যোগাযোগ করুন এর আগে আপনাকে ভোটার হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

নতুন ভোটার হওয়ার নিয়ম

আপনার বয়স যদি 18 বছর পূর্ণ হয়ে থাকে তাহলে আপনি নিচের নিয়ম অনুসারে খুব সহজে ভোটার হতে পারবেন। বর্তমানে 18 বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই ভোটার করছেন বাংলাদেশ সরকার। ভোটার নিবন্ধন সাধারণত জানুয়ারি থেকে নভেম্বর হয়ে থাকে। তবে এলাকাভেদে ভিন্নতা রয়েছে। তবে যে কোন সময় অনলাইনে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আবেদন করার পর আবেদন  কপি  পৃন্ট করে নিন। আপনার উপজেলা নির্বাচন অফিসে খোঁজ নিয়ে যানুন বা অন্য কোনো মাধ্যমে। আপনার এলাকার ছবি ফিঙ্গারপ্রিন্ট কখন শুরু হবে আপনার এলাকার ছবি তোলা শুরু হলে আবেদন ফরম প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছবি উঠে আসুন।

তারপর ছবি ফিংগারপিন্ট নেওয়ার পর আপনাকে একটি স্লিপ দেওয়া হবে। স্লিপটি আশা করি যত্ন সহকারে রেখে দিবেন। স্মার্ট কার্ড নেওয়ার স্লিপটি সাথে নিয়ে যাবে।


ভোটার হতে কি কি লাগে

অনলাইনে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হলে প্রথমে আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে services.nidw.gov.bd। এই ঠিকানায় ভিজিট করলে নিচের ছবির মত একটি ওয়েবসাইট দেখতে পারবো। নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করুন বাটনে ক্লিক করতে হবে।

এই পরমে প্রথমে আবেদনকারীর নাম ইংরেজিতে লিখতে হবে তারপর আবেদনকারীর জন্ম তারিখ লিখতে হবে তার পরের ঘরে ক্যাপচার লিখতে হবে যেমন দেখা যাবে তাই লিখতে হবে ভুল হলে হবে না তারপর বহাল বাটনে ক্লিক করতে হবে তাহলে পেজটি লোড হয়ে নিচের আরেকটি একটি পেইজ আসবে এই পেজে আপনার মোবাইল নাম্বার সিলেক্ট করতে হবে।

বাত্রা পাঠান বাটনে ক্লিক করলে ছয় ডিজিটের একটা কোড আসবে। আপনার মোবাইলে প্রাপ্ত 6 ডিজিটের সংখ্যাটি যাচাইকরণ কোড লিখে বহাল বাটনে ক্লিক করতে হবে। তা পেইজটিতে লোড হয়ে ইউজারনেম পাসওয়ার্ড চেক করার অপশন চলে আসবে যেমনটি নিচের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন।

ভোটার হতে কি কি লাগে জেনে নিন সম্পূর্ণভাবে

এখানে একটি ইউজার নেম দিতে হবে যদি না দিতে চান ক্ষতি নেই তবে দেওয়া ভালো তারপরে ঘরের একটি পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে তারপর ঘরে পুনরায় একটি পাসওয়ার্ড দিতে হবে। পাসওয়ার্ডটি অবশ্যই সংরক্ষণ করে রাখতে হবে কারণ পরবর্তী অ্যাকাউন্ট লগইন করতে পাসওয়ার্ডটি প্রয়োজন হয়। তারপরে বহাল বাটনে ক্লিক করতে হবে তাহলে অ্যাকাউন্টটি তৈরি হয়ে যাবে।

নতুন ভোটার আবেদন করার জন্য  প্রোফাইল অপশনে ক্লিক করলে ব্যক্তিগত তথ্য এবং ঠিকানা এই তিন প্রকার তথ্য প্রদান করার জন্য বলা হবে ব্যক্তিগত তথ্য তথ্য ও ঠিকানা আপডেট করার জন্য বাটনে ক্লিক করতে হবে।

          ব্যাংক থেকে বিকাশে টাকা আনার নিয়ম

এডিট বাটনে ক্লিক করলে অনেক বড় একটি ফরম ওপেন হবে তারপর উপরের ছবিতে আবেদনকারী ব্যক্তিগত তথ্যাদি দেখতে পারবেন। আপনাকে ওই ফরম পূরণ করতে হবে আবেদনকারীর ইংরেজি নাম জন্মতারিখ জাতীয়তা সিলেক্ট করা থাকবে শুধু বাংলা নাম , ইংরেজি নাম লিঙ্গে রক্তের গ্রুপ জন্ম নিবন্ধন নম্বর জন্মস্থান সিলেক্ট করবেন।

একই পরমে ব্যক্তিগত তথ্যের নিচে পিতা-মাতা ও বড় ভাই বোন  তথ্য সিলেক্ট করতে হবে। পিতা-মাতা যদি মৃত হয় মৃত্যুর চিহ্ন দিতে হবে এবং মৃত্যু সাল লিখে দিতে হবে। দিতে হবে তার পিতা-মাতার পিতা-মাতার এনআইডি নম্বর  বা ভোটার নাম্বার লিখলে হবে।

বড় ভাই বোনের প্রাপ্তিস্থান আবেদনকারীর বড় ভাই অথবা বোন নাম এনআইডি নম্বর লিখে দিবেন যদি আবেদনকারী বড় ভাই বোন না থাকে তাহলে লেখার দরকার নাই।

ব্যক্তিগত তথ্যাদি ফরম এর নিচের দিকে আবেদনকারী স্বামী-স্ত্রীর তথ্য দিতে হবে ।এবং আবেদনকারী  বিবাহিত হন তাহলে বৈবাহিক অবস্থা সিলেক্ট করতে হবে । স্বামী স্ত্রীর নাম জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার লিখতে হবে।

আবেদনকারীর যদি  একাধিক স্বামী স্ত্রীর থাকে তাহলেই পর্যায়ক্রমে সকলের নাম জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর উল্লেখ করতে হবে। ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ হয়ে গেলে অন্য অন্য তথ্য পূরণ করতে হবে। ভোটার হতে কি কি লাগে  উপরের লেখা গুলো ভালোভাবে পরলে বুঝতে পারবেন আশা করি।

আরো পড়ুন :  ব্যাংক থেকে বিকাশে টাকা আনার নিয়ম

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url